ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
পাতলা লিকলিকে শরীর। প্রথম দর্শনে তাকে পেস বোলার হিসেবে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল অনেকের। তাও আবার বাঁ-হাতি পেসার! তবে সেই মুস্তাফিজুর রহমানই পাকিস্তানকে টি-টুয়েন্টিতে উড়িয়ে দেয়ার পর থেকে ক্রীড়াপ্রেমিদের আলোচ্য বিষয় মুস্তাফিজ। সবাই এই তরুণের বোলিংয়ে মুগ্ধ। বিশেষ করে তার পারফর্মে খুশি সাতক্ষীরাবাসী। সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের তেতুঁলিয়ায় জন্ম তার। তেঁতুলিয়া গ্রাম থেকে সাতক্ষীরা শহরের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। প্রায় প্রতিদিনই এই পথ পাড়ি দিয়েই প্র্যাকটিসে যোগ দিতেন মুস্তাফিজ। আজ সেই পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন মুস্তাফিজ।
পেস বোলিং এ অংশ নিতে এসে সবার নজর কাড়েন মুস্তাফিজ। এরপর অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে বিশ্বকাপেও খেলেছেন। আর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে।
তবে এখানেই থেমে থাকতে চান না মুস্তাফিজ । জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান বহুদিন।
মুস্তাফিজের স্বপ্ন আজ বাস্তব হলো! ৮টি প্রথম শ্রেণি ও ৫টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলা সাতক্ষীরার পেসার মুস্তাফিজ, নিজেও চিন্তা করেননি জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্নটা এত তাড়াতাড়ি পূরণ হবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিই ছিল তার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। অথচ অভিজ্ঞ বোলারের মতো চাপ সামলে শুরুতেই করেন দারুণ এক স্পেল।
প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচেই আফ্রিদি-শেহজাদদের মুখোমুখি হওয়াটা যে কোনো বোলারের জন্যই চ্যালেঞ্জের। তবে ভালো করবেন এই আত্মবিশ্বাসটা ছিল বলেই মাঠে তার ফল পেয়েছেন।
নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচেই মুস্তাফিজের পারফরম্যান্স ছিল উজ্জ্বল। তার করা ২৪ বলের ১৫ টিতেই রান নিতে পারেন নি পাকিস্তানের ব্যাটস্যানরা। শুধু তাই না টি টোয়েন্টির অন্যতম সফল ও অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার আফ্রিদি ও হাজিফের উইকেটও তুলে নেন এই বাঁ-হাতি পেসার।
বাংলাদেশের বোলিং অ্যাটাকে যা নেই বেশ ক’বছর হলো। হয়তো মুস্তাফিজই সেই বৈচিত্র্যে নতুনত্ব যোগ করবে টাইগারদের বোলিং অ্যাটাকে।
আসছে ভারতীয় সিরিজে মুস্তাফিজের কাছে এ দেশের ক্রীড়াপ্রেমিদের আশা অনেকখানিই। তিনি কি পারবেন তাদের আশা পূরণ করতে!